উত্তরা গণভবনে স্বাগতম

উত্তরা গণভবন
নাটোর শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে এক মনোরোম পরিবেশে ইতিহাস খ্যাত দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী তথা উত্তরা গণভবন অবস্হিত । নাটোরের রানী ভবানী তাঁর নায়েব দয়ারামের উপরে সন্তষ্ট হয়ে তাঁকে দিঘাপতিয়া পরগণা উপহার দেন রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন-১৯৫০ এর মাধ্যমে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৫২ সালে দিঘাপতিয়ার শেষরাজা প্রতিভানাথ রায় সপরিবারে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে কলকাতায় চলে যান ।
রাণী ভবানীর স্মৃতি বিজড়িত নাটোর
ঐতিহাসিকদের মতে অষ্টাদশ শতকে নাটোর রাজবংশের উৎপত্তি । রাজা রামজীবন রায় নাটোর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা । রামজীবনের পূত্রবধূই ছিল ইতিহাস খ্যাত রাণী ভবানী ।
ঐতিহাসিক পেক্ষাপট
রাজসিক নাটোরের সাথে জড়িয়ে আছে প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐশ্বর্য্য সমৃদ্ধ ইতিহাস । কবি জীবনানন্দ দাস তার ‘বনলতা সেন’ কবিতায় .............নাটোরের বনলতা সেন’ কথাটি ব্যবহার করেন, যা নাটোরকে আরো বেশি পরিচিত করে তোলে ।

ঐতিহাসিক নিদর্শন
রাজার ব্যবহৃত কামান
উত্তরা গণভবনে প্রবেশকালে প্রধান ফটক পেরিয়ে সামনে এগোলেই দেখা মিলবে তৎকালীন দিঘাপতিয়া রাজার ব্যবহৃত কামান, যা শত্রুর আক্রমণ থেকে রাজ প্রাসাদটিকে রক্ষার জন্য স্থাপন করা হয়েছিল।
পানির ফোয়ারা
উত্তরা গণভবনের অভ্যন্তরে ইতালিয়ান গার্ডেনে
স্থাপিত সুদৃশ্য পানির ফোয়ারা, যা রাজার শৈল্পিক
মননশীলতার পরিচয় বহন করে।
মনোগ্রাম
দিঘাপতিয়া রাজার
ব্যবহৃত নিজস্ব
মনোগ্রাম (লোগো) যা রাজার স্বাক্ষরিত বিভিন্ন
পত্রে ব্যবহার করা হতো।

