চলনবিল বলতে চলমান (চলন্ত) বিলকে বোঝায়। অর্থাৎ যে বিল প্রবাহমান। বিল সাধারণত বদ্ধ থাকে; তবে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল চলনবিলের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। এ বিলের চলমান পানির অংশের পরিধি সঙ্কোচিত হতে হতে এখন এটা বদ্ধ বিলে পরিণত হয়েছে। এতে বদলে গেছে চলনবিল; দিনের পর দিন এর পরিধিও সঙ্কোচিত হচ্ছে। ১৯০৯ সালে চলনবিল জরিপ কমিটির রিপোর্ট মোতাবেক, চলনবিলের আয়তন ছিল এক হাজার ৮৮ বর্গকিলোমিটার। উইকিপিডিয়া ও বাংলা পিডিয়ায় এর আয়তন দেখানো হয়েছে ৩৬৮ বর্গ কিলোমিটার। পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, সিংড়া, গুরুদাসপুর এবং নওগাঁ জেলার আত্রাই রানীনগর চলনবিলের আওতাভুক্ত। ১৯১৪ সালে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ রেলপথ স্থাপন হওয়ায় চলনবিল বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে এ রেল লাইনের উত্তর ও পশ্চিম অংশকে চলনবিল বলা হয়। চলনবিল এলাকায় জমির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮শ’ ৭ হেক্টর। সমগ্র চলনবিল বিষুবরেখার ২৪ ডিগ্রী ৭মিনিট থেকে ২৪ ডিগ্রী ৩৫ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রী ১০ মিনিট থেকে ৮৯ ডিগ্রী ৩৫ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।